স্বদেশ ডেস্ক: অবশেষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলে (আইসিসি) তিন মোড়লের (ভারত, ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া) আধিপত্যের দিন শেষ হচ্ছে। আইসিসির অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যবিষয়ক (ফিন্যান্স অ্যান্ড কমার্শিয়াল অ্যাফেয়ার্স) কমিটির প্রধান হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) সভাপতি এহসান মানি। গত সপ্তাহে আইসিসির বার্ষিক সম্মেলনে এ নিয়োগ দেন সংস্থাটির সভাপতি শশাঙ্ক মনোহর।
ফিন্যান্স অ্যান্ড কমার্শিয়াল অ্যাফেয়ার্স কমিটিই মূলত সব ধরণের আর্থিক বিষয়াদি দেখাশুনা করে। আর এখানে গত কয়েক বছর ধরেই তিন মোড়লের মধ্যে এই পদটি ধরে রাখা হতো। আইসিসির বিভিন্ন ইভেন্টের বাজেট প্রণয়ন ছাড়াও সদস্যদেশগুলোর মধ্যে অর্থ বণ্টনের দায়িত্বও পালন করে থাকে এ কমিটি।
গত ১০ বছর ধরে এই তিন দেশের বাইরে মাত্র একজন কর্মকর্তা নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের সাবেক প্রধান অ্যালান আইজ্যাক (২০১১-১২) ফিন্যান্স ও কমার্শিয়াল অ্যাফেয়ার কমিটিতে ছিলেন। তবে শীর্ষপদে মোড়লদের বাইরে কেউ বসতে পারেননি। পিসিবি প্রধান এহসান মানি ১৭ বছর পর এই পদে ফিরলেন।
আইসিসি প্রশাসনের মধ্যেই বেশ ভালো ক্ষমতা রয়েছে অর্থ-বাণিজ্য কমিটির। ২০১৪ সালে এ কমিটির অংশীদার এন শ্রীনিবাসন, ওয়ালি এডয়ার্ডস ও জাইলস ক্লার্ক (তিনজন যথাক্রমে বিসিসিআই, সিএ ও ইসিবি প্রধান) মিলে আইসিসির রাজস্বনীতিতে বিতর্কিত সংশোধনী এনেছিলেন।
তার আগে ১০টি টেস্ট খেলুড়ে দেশ প্রতিবছর আইসিসির রাজস্ব আয় থেকে সমান ভাগ পেয়ে এলেও সংশোধনীর পর আয়ের সিংহভাগ গেছে ভারত, ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট বোর্ডের কোষাগারে। ২০১৭ সালে আইসিসি সভাপতির দায়িত্ব নিয়ে তিন মোড়লের এ রাজস্বনীতি সংশোধন করেন শশাঙ্ক মনোহর।
আইসিসির এই কমিটির প্রধান হিসেবে এহসান মানি নিয়োগ পাওয়ার পর এটাকে ভালো কিছুর লক্ষণ বলেই মনে করছেন ক্রিকেট বিশ্লেষকরা। তিনি আইসিসি অডিট কমিটিতেও আছেন। আশা করা হচ্ছে, তিনি বড় কিছু সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন যা ক্রিকেটকে আরও বদলে দেবে। এরমধ্যে আইসিসির পরবর্তী ইভেন্টসমূহ নিয়ে নতুন করে সিদ্ধান্ত আসতে পারে। একইসঙ্গে সম্প্রচার সত্ত্ব নিয়েও নতুন কোনো চমক দেখিয়ে দিতে পারেন এহসান মানি।